Blog

ফেসবুকে রিমার্কেটিং

কিভাবে রিমার্কেটিং করবেন ?
১. টাইম টার্গেটিং- এটা করতে হলে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটে পিক্সেল সেটাপ করে নিতে হবে, এরপর ফেসবুক যখন ইউজার ট্র্যাক করবে আপনি সময় নির্দিষ্ট করে অ্যাড টার্গেটিং করতে পারবেন যেমন শেষের ৩ দিন যারা আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করেছে, অথবা শেষের ৩০ দিন যারা আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করেছে এভাবে আপনি শেষের ১৮০ দিন যারা আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন এক্টিভিটি করেছে তাদের টার্গেট করতে পারবেন। এমনকি তারা আপনার ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট ভাবে কোন জায়গায় গিয়েছে সেটা ফেসবুককে কম্যান্ড দিয়েও আপনি টার্গেটিং করতে পারবেন, আপনি চাইছেন না যারা আপনার ওয়েবসাইটে গিয়েই বের হয়ে গিয়েছে এমন মানুষ টার্গেট করতে, আপনি চাইছেন এমন মানুষ টার্গেট করতে যারা একটি মান সম্মত সময় কাটিয়েছে তাদেরকে টার্গেট করতে সেটাও সম্ভব, চাইছেন না গত ২ মাসে আপনার কাছ থেকে যারা প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস কিনেছে তাদের টার্গেট করতে সেটাও সম্ভব, মনে রাখবেন ফেসবুকের অ্যাড টার্গেটিং এমন একটি ফিচার যেখানে শত শত স্ট্রাটেজি ফলো করে আপনি অ্যাড টার্গেট করতে পারবেন।

২. ফেসবুক বিজনেস পেইজ টার্গেটিং-
এটাও ওয়ার্ম অডিয়েন্স টার্গেটিং কারন আপনি তাদেরকে নিয়ে রি টার্গেটিং করতে চাইছেন যারা আপনার পেইজে লাইক দিয়েছে,ভিজিট করেছে, বিভিন্ন পোস্টে বিভিন্ন ভাবে এঙ্গেজ হয়েছে, অথবা আপনার পেইজে ইনবক্স করেছে ইত্যাদি, এটা ফেসবুক পিক্সেলের মত পাওয়ারফুল না হলেও মান সম্মত ওয়ার্ম অডিয়েন্স আপনি এই ধরনের টার্গেটিং থেকে পাবেন, এখানে আরেকটি সুবিধা হলো আপনি এখানে “And অথবা “Any” এই কন্ডিশনের মাধ্যমে ইউজারের মাল্টিপল বিহেবিয়ার টার্গেট করে অ্যাড দিতে পারবেন।

৩. বিজনেস এপের ডাটার মাধ্যমে টার্গেটিং করা- আপনার যদি এপ থাকে তাহলে সেটার বিভিন্ন এক্টিভিটি ইউজারদের টার্গেট করতে পারবেন, যেমন যারা আপনার এপ ওপেন করেছে, যারা আপনার এপে সব থেকে বেশি এক্টিভ অথবা এপ থেকে কোন কিছু কিনেছে।

৪.ইমেইল লিস্টের মাধ্যমে টার্গেট করা- ই মেইল লিস্টের মাধ্যমে ওয়ার্ম অডিয়েন্স টার্গেট করা চমৎকার একটি পদ্ধতি, আপনি আপনার কাস্টমারের ইমেইল এড্রেস ফেসবুকে আপলোড দিয়ে তাদেরকে অ্যাড দেখাতে পারবেন এবং যেহেতু তারা আপনাকে চিনে তাই কনভার্শন রেট বেশি হবার সম্ভাবনাও থাকবে। তাই যারা এখনো কাস্টমারের ইমেইল সংরহ করছেন না তারা আজই করা শুরু করে দিন, আপনার যদি ওয়েবসাইট থাকে তাহলে ই মেইল সাবস্ক্রাইবার ফিচার ব্যাবহার করে এটা করতে পারেন।

৫. ভিডিও ভিউজের উপর টার্গেটিং- আগেও বলেছি ওয়ার্ম অডিয়েন্স হচ্ছে তারা যারা আপনাকে ইতিমধ্যে চিনেছে, আপনি প্রথমে একটি ভিডিও দিলেন, সেটা কোল্ড অডিয়েন্স টার্গেটিং করে দেখালেন, এখন সে ভিডিও যারা দেখলো সবাই আপনার ওয়ার্ম অডিয়েন্স কিন্তু সবাই ই কি মান সম্মত অডিয়েন্স, অনেকেই আছে যারা আপনার ৫ মিনিটের ভিডিও ৩ সেকেন্ড দেখেই বের হয়ে গেছে, অথবা ২৫ সেকেন্ডের ভিডিও, তাদেরকে আপনার রিটার্গেটিং এ রেখে কিন্তু কোন লাভ নেই তাহলে আপনার রি টার্গেটিং স্ট্রাটেজিও কিন্তু সফল হলো না, আর ভিডিও ভিউজের ইউজারদের আপনি বিভিন্ন ভাবে ফিল্টার করতে পারবেন যারা ৩ সেকেন্ড দেখেছে, ১০ সেকেন্ড দেখেছে, ৫০% দেখেছে ‌৯৫ % দেখেছে এমন অডিয়েন্স দিয়েও আপনি আলাদা আলাদা ভাবে টার্গেটিং সাঁজাতে পারবেন, এখানেও আপনি মাল্টি লেয়ার, অথবা A/B টেস্টিং করে দেখতে পারেন কোন গ্রুপের অডিয়েন্স থেকে আপনি ভালো রেজাল্ট পাচ্ছেন।

এভাবে আরো বিভিন্ন উপায়ে আপনি ওয়ার্ম অডিয়েন্স টার্গেটিং করতে পারবেন, আর মনে রাখবেন সেল জেনারেটের জন্য কোল্ড অডিয়েন্সের থেকে ওয়ার্ম অডিয়েন্স অনেক বেশি কার্যকরি। এই লেখাটার উদেশ্য ছিলো এই যে আমরা অনেকেই একই রকম ফেসবুক টার্গেটিং এ আটকে গেছি, আমরা দীর্ঘ সময় ধরে ফেসবুকে আছি কিন্তু অনেকেই অনেক অ্যাডের কথা জানেই না, আর না জানার ফলে ফেসবুক অ্যাড থেকে ভালো রেজাল্ট পাচ্ছি না।

আর তার ফলে যেটা হচ্ছে ফেসবুক অ্যাড থেকে অনেকেই আস্থা হারাচ্ছি আর আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ফেসবুক অ্যাড অন্যতম বড় একটি জায়গা দখল করে রাখার ফলে অনেকে বিজনেস থেকেও সরে যাচ্ছি। উপরে ছোট করে আলোচনা করা চেস্টা করলাম, ফেসবুকের বিভিন্ন অডিয়েন্স এবং টার্গেটিং ট্রাটেজি নিয়ে, আশা করছি অনেকের ই কাজে আসবে। ধন্যবাদ।

ফেসবুক অথোরাইজ এড একাউন্ট পেতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *