Blog

কিভাবে ফেইসবুক এ্যাডভার্টাইজিং শুরু করতে পারি? Facebook Ads FAQ

ফেসবুক মার্কেটিং নিয়ে ভাবছেন? ডিজিটাল মার্কেটিং করেই সম্ভব ফেইসবুক এ্যাডভার্টাইজিং!

‘ডিজিটাল মার্কেটিং’ এর প্ল্যানিং থেকে শুরু করে এক্সিকিউশন পর্যন্ত এবং অথোরাইজ এড ম্যানেজার থেকে ‘নন স্টপ বুস্টিং’ সার্ভিস সহ সকল সার্ভিস দিতে প্রস্তুত ‘Rongdhonu-IT Solutions’ এক্সপার্ট টিম। এতে আপনার সেল বাড়বে ঝড় গতিতে। মিটিং ফিক্সড করতে কল করুনঃ +8801973585043 (call or whatsapp)

আমাদের মাধ্যমে কিভাবে ফেইসবুক এ্যাডভার্টাইজিং শুরু করবেন ?

Step 01 – প্রথমে আপনার পেইজটি আমাদের দেখিয়ে জেনে নিবেন এই পেইজের এ্যাডভার্টাইজিং করা যাবে কি না।

Step 02 – যদি যায় তাহলে আমাদের কমপক্ষে $10 এর জন্য টাকা পেমেন্ট করবেন। (বিকাশ,নগদ,রকেট)

Step 03 – আমাদের একটি আইডি-কে Advertiser/Editor করে দিবেন।

Step 04 – যে পেইজটি/পোষ্টটি বুস্ট করবেন, সেটির লিংক দিবেন।

Step 05 – আমরা এ্যাড সাবমিট করে দেব। ২৪ ঘন্টার মধ্যে সাধারনত এ্যাপ্রুভ হয়ে যায়। নিয়মিত রিপোর্ট দেয়া হবে।

আপনার বিজ্ঞাপনটি কতদিন চলবে?

এটি আসলে আপনার সিদ্ধান্ত। আপনি আপনার সুবিধামতো দিন ও বাজেট নির্ধারন করে খরচ করতে পারেন। দৈনিক যত খরচ করবেন, সেই অনুপাতে রেজাল্ট আসবে। সর্বনিন্ম প্রতিদিন ১ ডলার দেয়া যায়। মানে ৩০ ডলার দিয়ে সর্বাধিক ৩০ দিন ক্যাম্পেইন চালাতে পারবেন।

আমাদের পরামর্শ হলো দৈনিক অন্তত ৪-৫ ডলার বরাদ্দ দিন যাতে একটি স্ট্যান্ডার্ড স্পিড পাওযা যায়।

১০ ডলারে আপনার এ্যাডটি কতজনকে দেখানো (রিচ) হবে?

একটি অ্যাড কতজন দেখবে (কত রিচ হবে) এটি’র সুনির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। কারন এ্যাডের পারফরমেন্স অনুযায়ী এবং ফেইসবুকের নিজস্ব কিছু নিয়ম অনুযায়ী (কন্টেন্ট, বাজেট, এ্যাড কোয়ালিটি স্কোর, প্রতিদ্বন্দী এ্যাডের পরিমান ও বাজেট ইত্যাদী) কম বেশী হয়ে থাকে।

সাধারনত বাংলাদেশের নির্দিষ্ট এলাকায় ম্যাসেজ টার্গেট করে এ্যাড চালালে প্রতি ডলারে = ৫০০ থেকে এক ১০০০ এবং এনগেজমেন্ট টার্গেট করে চালালে প্রতি ডলারে = ১০০০+ জন এ্যাডটি দেখবে। পেইজ প্রমোশন করলে ডলার প্রতি = ২০-১৫০ টি লাইক পেতে পারেন।

প্রশ্ন: আপনারা তো অনেক কম বলছেন, অন্য একটি এজেন্সি ২০০০ টাকায় ৫০০০ বেসিক লাইক দিবে বলেছে।

আসলে বেসিক লাইক বলে কোন শব্দ ফেইসবুকে নেই। এগুলো ফেইক লাইকের এই নাম দিয়েছে। তারা তাদের ৫০/৬০ হাজার ফেইক একাউন্ট দিয়ে পেইজে ভুয়া লাইকের ব্যাবস্থা করে দেয়। কাজটি তারা করে সফটওয়্যারের মাধ্যমে। এজন্যই তারা অস্বাভাবিক বেশী লাইকের নিশ্চয়তা দিতে পারে। ভুয়া লাইক কিনলে আপনার পেইজের স্থায়ী ক্ষতি হয়ে যাবে। কারন পরবর্তিতে প্রোডাক্ট/সার্ভিসের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হয় আপনার পেইজের ফ্যান। আপনি সেই জায়গাটি বন্ধ করে দিচ্ছেন। আর এইসব ফেইক আইডি দেখে দেখে ব্লক করে দেয়া প্রায় অসম্ভব একটি কাজ। এইসব এজেন্সি সধারনত কখনই তাদের এ্যাড ম্যানেজার দেখাতে চায় না। 

ফেইসবুকে এ্যাড দিতে কোন এজেন্সির কাছে যেতে হবে ?

    1. অভিজ্ঞতা: পেশাদার আর অনভিজ্ঞ কাজের পার্থক্য অনেক। এজেন্সি অনেক ধরনের ব্যাবসার হাজারো এ্যাড দিয়ে আসছে বছরের পর বছর। তারা Facebook community standard, Ad policy, Conversion rate, Bid, Placement, Detailed interest  বিষয়গুলো মাথায় রেখে এ্যাডভার্টাইজিং করে। 

    2. পেমেন্ট চ্যানেল: ফেইসবুককে পেমেন্ট করার ব্যাবস্থা করাটা অনেক ঝামেলার ব্যাপার। ব্যাংকে অনেক ফরমালিটি, দেশের বাইরের কারো সাহায্য নিয়মিত চাওয়া অস্বস্তিকর। এজেন্সিকে কিছু সার্ভিস চার্জ দিয়ে খুব সহজেই এ্যাড চালু করা যায়।

    3. ক্রিয়েটিভ কন্টেন্ট: এজেন্সিগুলো সাধারনত এ্যাডের কন্টেন্ট তৈরীতে অভ্যস্ত হয়ে থাকে। এ জন্য সাধারনত আলাদা পেমেন্ট নেয়া হয়। 

    4. পেইড টুলস্: যেহেতু এজেন্সি চালানো হয় সেজন্য আমরা কিছু পেইড টুল ব্যাবহার করে থাকি ডাটা এ্যানালাইসিস এর জন্য। এককভাবে এইসব টুল কিনে ব্যাবহার করা বেশ ব্যায়বহুল।

প্রশ্ন : আমি বড় বাজেটের একটি এ্যাড ৪ দিন চালাতে চাই, আমি যদি ৪ দিনের পরিবর্তে ১ মাস চালাই তাহলে কি কিছু বেশী ক্লিক/লাইক পাব?

পত্রিকার বিজ্ঞাপন যেমন বেশীদিন চালালে বেশী মানুষ দেখবে, ফেইসবুকের বিজ্ঞাপন ঠিক তেমনটি নয়। আপনার বাজেট অনুযায়ী এটি দেখানো হবে। বাজেট ঠিক রেখে দিনের সংখ্যা বাড়িয়ে দিলে, প্রতিদিনের দেখানোর হার কমে আসবে। আপনার অর্থ কম দিনে যত লোককে দেখাবে, বেশী দিন চালালেও মোটামুটি একই পরিমান লোক দেখবে। এ্যাড কম দিন চলুক বা বেশী, মোট ফলাফল একই থাকবে।

ফেইসবুকের এ্যাড দেখানোর ফর্মুলা:
এ্যাড পারফরর্মেন্স = (বাজেট/সময়) X কোয়ালিটি স্কোর অর্থাৎ

বাজেট বাড়ালে পারফরর্মেন্স বাড়বে (সময় ও কোয়ালিটি একই হলে)
সময় বাড়ালে পারফরর্মেন্স কমবে (বাজেট ও কোয়ালিটি একই হলে)
কোয়ালিটি বেড়ে গেলে পারফরর্মেন্স বাড়বে (বাজেট ও সময় একই হলে)

আপনার মতো আরো অনেকে এই সার্ভিস দিচ্ছে। আমি কেন আপনার সার্ভিস নেব?

আমরা বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল এজেন্সি (২০১১ -এ প্রতিষ্ঠিত) এবং প্রথম ফেইসবুক এ্যাডভারটাইজার । আমাদের স্বচ্ছতার জন্য আমরা সমাদৃত। সম্ভবত আমরা-ই প্রথম থেকে ওপেন ইনফর্মেশন দিচ্ছি। কত টাকার বিনিময়ে আমাদের কাছে কি প্রত্যাশা করতে পারেন তা সবই এখানে পরিস্কারভাবে বলে দেয়ার চেষ্টা করেছি। অন্যদের মতো তথ্য জানতে ফোন করতে বা ইনবক্স দেখুন বলিনি। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য পরবর্তীতে অনেকে বাধ্য হয়েছে তাদের রেট ওপেনলি বলতে। এর পরেও আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা ফেইসবুকের এই সার্ভিসটি সুলভ মুল্যে সরবরাহ করার চেস্টা করেছি মাত্র, এখানে এ্যাড কিভাবে চলবে সেই সিদ্ধান্তটি আপনার। আমরা কোন কৃত্রিম প্যাকেজ তৈরী করিনা। আমরা অন্যদের মতো পেইজের ‘লাইক’ কন্ট্রাক্ট নেই না অথবা কতগুলো ক্লিক হবে সেভাবে চুক্তি করে নেই না। আমরা আপনার এ্যাডগুলো স্বাভাবিকভাবে চালাই। এতে করে স্বাভাবিকভাবেই আপনি ক্লিক অথবা লাইক পাবেন। কোন ধরনের ম্যানিপুলেশনের প্রশ্ন নেই। আমাদের সার্ভিস নেয়ার কয়েকটি কারন হতে পারে:

  • দেশের প্রথম অনলাইন এ্যাড এজেন্সি (২০১১ থেকে)

  • বিশ্বমানের সার্ভিস

  • পরিপুর্ন এবং স্বচ্ছ রিপোর্টিং

  • কোন অবাস্তব প্রমিজ করা হয় না। যেমন এতগুলো লাইক/রিচ হবে।

  • কোন লাইক-এর কন্ট্রাক্ট নেই না।

  • আপনার ক্যাম্পেইনের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ  দেই।

  • ১৩ বছরের ডিজিটাল এ্যাডভার্টাইজিং সার্ভিসে শুন্য অভিযোগ

এ ছাড়া এ্যাড চলাকালিন সময় লাইভ রিপোর্ট দেখে নিতে পারেন। তবে ক্যাম্পেইন শেষ হয়ে যাবার পরে যেহেতু এ্যাডগুলো মুছে ফেলা হয় তাই পরে আর এই সুবিধা দেয়া সম্ভব নয়।

আমার কোন পোস্টের নীচে বুস্ট বাটনে ক্লিক করলে একটা লিস্ট দেখা যায়। যেখানে কত টাকার এ্যাড দিলে কত reach বা like হবে তার একটা ধারনা দেয়া থাকে। এটি কি সঠিক?

সাধারনত একটা রেঞ্জ দেয়া থাকে যেমন ৫০০ টাকায় 36000 থেকে 95000 reach. আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি যে রেঞ্জটির ছোট ভ্যালুর ৭০% ধরা হলে কাছাকাছি রেজাল্ট হয়। যেমন এই উদাহরনে ক্ষেত্রে আমাদের ধারনা থাকবে যে 36000 এর 70% = 25k এর মতো reach পেতে পারি। ফেইসবুকের বাড়িয়ে বলাটা তার নিজের এ্যাডভার্টাইজমেন্টের একটি অংশ।

আমরা অনেক বড় প্রতিষ্ঠান, আমাদের বাজেট অনেক বড়। একটি প্রাইস কোটেশন পাঠানো যাবে? 

জ্বি যাবে। এজন্য আপনার প্রতিষ্ঠানের VAT Registration Certificate এর কপি প্রয়োজন হবে। প্রাইস কোটেশনের ক্ষেত্রে আমাদের ডলারের রেট আলাদা হবে। আমরা কোন টেন্ডারে অংশ নিতে আগ্রহী নই। 

আমি কি যে কোন ধরনের ব্যাবসার এ্যাড আপনাদের মাধ্যমে দিতে পারি?

ফটোগ্রাফি, বুটিক শপ, কারুশিল্প বা মিউজিক ব্যান্ড যে ধরনের এ্যাডই দিতে চান না কেন প্রায় সবগুলো-ই ফেইসবুকের মাধ্যমে প্রচার করা সম্ভব। তবে অল্প কিছু পণ্য, সেবা ও ব্যাবসা রয়েছে যেগুলোর এ্যাড আমরা দেই না। সেগুলোর একটি ছোট তালিকা এখানে দেয়া হলো:-

১) রাজনৈতিক

২) কসমেটিকস, স্কিনকেয়ার, হেয়ার প্রোডাক্ট

৩) ওয়েট লস (Weight Loss), কবিরাজি, হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদ চিকিৎসা

৪) হাতগণনা ও পাথর সংক্রান্ত

৫) ফুড সাপ্লিমেন্ট

৬) এমএলএম (MLM)

৭) ক্রিপ্টোকারেন্সি/ফরেক্স/গ্যাম্বলিং (Cryptocurrency, Forex, Gambling)

৮) অতি দ্রুত সাবমিট করতে চাচ্ছে এমন এ্যাড।

৯) এডাল্ট প্রোডাক্ট/টয়/পর্নোগ্রাফী

১০) মডেল বা Escort এজেন্সি

১১) জব অফার / নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

১২) ম্যানপাওয়ার বিজনেস

১৩) কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বা ঘৃনা-বিদ্বেষ মুলক এ্যাড

১৪) “সারাদেশে এজেন্ট নিয়োগ দেয়া হবে।” – এমন ধরনের এ্যাড

১৫) ক্লাসিফায়েড এ্যাড যেমন: হারাইয়াছে, নিখোঁজ, জমি বিক্রি ইত্যাদী

১৬) হাতঘড়ি, সানগ্লাস অথবা পারফিউম জাতীয় প্রোডাক্ট কোন পেইজে থাকলে সেই পেইজের কোন এ্যাড। 

১৭) ঘরে বসে আয় করুন, ডলার, ইনকাম, ফ্রিল্যান্স, ১০০% স্কলারশীপ এমন শব্দযুক্ত কোন কোর্সের এ্যাড।

১৮) অতিরিক্ত ইমোজি, ASCII Art – যুক্ত কন্টেন্ট।

আমাদের পলিসির একটি সারসংক্ষেপ এখানে দেয়া হয়েছে মাত্র, এখানে দেয়া হয়নি কিন্তু আমাদের পলিসির সাথে সাংঘর্ষিক এমন কোন ক্যাম্পেইনের ব্যাপারে যোগাযোগের সময় জানিয়ে দেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *